রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, কালের খবর : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের কুমুরতিয়া গ্রামে সরকারি আইন অমান্য করে যুবকদের আড্ডা দিতে নিষেধ করায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাউসার মোল্লা পক্ষের মোঃ সিরাজ শেখ পক্ষের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এ হামলায় সিরাজের পক্ষে আহত হয় ১৩ জন ও কাউসার মোল্লার পক্ষে আহত হয় ২ জন। উভয় পক্ষই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন । দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের রোববার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের কুমুরতিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্থারকে কেন্দ্র করে কাউসার মোল্লা পক্ষ ও সিরাজ শেখ পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মোঃ মফিজুল সেখ, মোঃ ডালিম শেখ, মোছাঃ লিপি বেগম, মোসাঃ আফরোজা বেগম, মোঃ মাসুদ শেখ, মোঃ ওসমান শেখ, মোঃ সিরাজ শেখ, মোঃ মেহেদী শেখ, মোঃ সুজন শেখ, মোঃ সোহেল শেখ, মোঃ তাইফুর শেখ, মোঃ শহীদ শেখ, মোছাঃ আসমা বেগম সহ ১৩ জন আহত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি আইন অমান্য করে যুবকদের আড্ডা দিতে নিষেধ করায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার কাওসার মোল্লা এবং সিরাজ শেখ এর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এক পর্যায় গত শুক্রবার ১২ টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বাড়ি ঘর ভাংচুর মারধর করে আসমা বেগম পক্ষের ওপর কাউসার মোল্লার পক্ষ।
এ ঘটনায় জড়িত আসমা বেগম বাদী হয়ে কাওসার মোল্লা পক্ষের ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। অপরপক্ষে জড়িত কাউছার মোল্লা বাদী হয়ে সিরাজ শেখ পক্ষের ২১ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে সিরাজ শেখ বলেন, আমার বাড়ীর পাশে নদীর ধারে একদল যুবক প্রতিনিয়ত আড্ডা দেয়। এ বিষয়ে গত ১৮ এপ্রিল বিকালে সৌরভ মোল্যাসহ ৫/৬ জন যুবক আড্ডা দিতে আসলে দেশের চলমান করোনা ভাইরাস সমস্যার কথা চিন্তা করে আড্ডা দিতে নিষেধ করি। আড্ডার বাধা দেওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী কউছার মোল্যা ও এমামুল মোল্যার হুকুমে লাঠিসোঠা দিয়ে ওই রাতে সৌরভসহ কতিপয় যুবকরা বাড়িঘর,দোকান ঘর ও আসবাব পত্র ভাংচুর ও মারধর করে ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে আমাদের।
এ ব্যাপারে আসমা বেগম বলেন, কাউসার মোল্লার নেতৃত্বে মোঃ ইনামুল মোল্লা, তারা মোল্লা, ইমবাদ মোল্লা, মোঃ সৌরভ মোল্লা সহ তাদের দলবল নিয়ে প্রথমে আমাদের পক্ষের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাড়ি ভাংচুর লুটপাট মারধর করে ১৩ জন আহত করে।
তিনি আরো বলেন, এ হামলায় সাত জনের অবস্থা গুরুতর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বাকি ৬ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে। কাউসার মোল্লা পক্ষের লোকজন আমাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কাওসার মোল্লা বলেন, বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট মারধরের ঘটনা তারাই ঘটিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বরং আমিও আমার ছেলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে আসমা বেগম পক্ষের লোকজন।
এ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম বলেন, দুই পক্ষেরই মামলা হয়েছে কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।